বারান্দায় বা ছাদে থাকা গাছের তুলনায় ঘরে থাকা গাছের খানিকটা বেশি যত্ন প্রয়োজন। সঠিক পরিচর্যা না পেলে ইনডোর প্ল্যান্ট সহজেই নেতিয়ে পড়ে এবং পাতা হলুদ হয়ে ঝরে যায়। এছাড়াও দেখা দিতে পারে পোকার সমস্যা। জেনে নিন ইনডোর প্ল্যান্টের যত্ন সম্পর্কে।
ঘরে থাকা গাছের যত্ন
গাছে নির্দিষ্ট পরিমাণে পানি দিন। খেয়াল রাখুন যেন সারারাত গাছের গোড়ায় পানি জমে না থাকে। এতে গাছের গোড়া পচে যেতে পারে। ঘরে থাকা গাছে প্রতিদিন পানি না দিলেও চলবে। মাটিতে ভেজা ভাব থাকলে পানি দেওয়ার দরকার নেই।
গাছে পানি দেওয়ার আদর্শ সময় ভোরবেলা এবং বিকেলে। কারণ এই সময় রোদের তেজ কম থাকে।
যে ঘরে আলো-বাতাস চলাচল করে, সেখানে গাছ রাখুন। খুব অন্ধকার ঘর কিংবা যেখানে বেশি রোদ আসে সেখানে গাছ রাখবেন না। গাছের নতুন চারা অবশ্যই বারান্দায় বা যেখানে আলো-বাতাস আসে, সেখানে রাখুন। এতে চারা ঠিকমতো বাড়বে এবং গাছে ফাংগাসও হবে না। যে ঘরে এসি চলে বা রুম টেম্পারেচার ঘন ঘন বদলে যায়, সেরকম ঘরে গাছ না রাখাই ভালো এতে সহজে গাছের পাতা ঝরে পড়ে যায়।
যেভাবে চারাগাছের পরিচর্যা করবেন ২০২৪
গাছ অতিরিক্ত রোদ পেলে অনেকসময় পাতার সামনের অংশ শুকিয়ে কুঁকড়ে যায়। এছাড়া ফুল বা পাতার রঙ হালকা হয়ে যেতে পারে। এরকম হলে গাছ সরাসরি রোদে না রেখে অপেক্ষাকৃত ঠাণ্ডা জায়গায় সরিয়ে রাখুন।
ঝরে পড়া ফুল, শুকনো পাতা টবের মধ্যে যেন জমে না থাকে। টব সবসময় পরিষ্কার রাখুন। এতে গাছ ভালো থাকবে।
গাছের পাতায় ধুলো জমলে শুকনো সুতির নরম কাপড় বা স্পঞ্জ দিয়ে হালকা হাতে পাতাগুলো মুছে দিন। গাছে ছোট ছোট অনেক পাতা থাকলে স্প্রে বোতলে পানি ভরে স্প্রে করে পরিষ্কার করুন।
একসঙ্গে অনেক গাছ পরিষ্কার করতে চাইলে শাওয়ারের তলায় গাছগুলো রাখুন। তবে পরিষ্কার করার আগে গাছের গোড়ার অংশ তার চারদিক প্লাস্টিক দিয়ে র্যাপ করে নিন। নাহলে গাছের মাটি ধুয়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
নাইট্রোজেন, ফসফেট ও পটাশ রয়েছে এরকম লিকুইড প্ল্যান্ট ফুড দিতে পারেন ঘরে থাকা গাছে। তবে অতিরিক্ত দেবেন না।
গাছকে পোকামাকড়ের অত্যাচার থেকে বাঁচাতে পানিতে অ্যাসপিরিন জাতীয় ট্যাবলেট গুঁড়ো করে মিশিয়ে দিন। অ্যাসপিরিনের স্যালিসিটিক অ্যাসিড গাছের ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে। এই মিশ্রণ স্প্রে বোতলে ভরে গাছের পাতায় মাঝেমধ্যে স্প্রে করে দিন।